ডিফু বৰনামঘৰ


                                                 
                                               ডিফু বৰনামঘৰ
                                                                    
( টোকা-  ১৯৬৮ চনৰ ১০ ফ্রেবুৱাৰীৰ শিৱৰাত্রিৰ দিনা , সেই সময়ৰ মাননীয় উপায়ুক্ত অচুৎ কুমাৰ শইকীয়া,আই. এছ,কে ধৰি                     আন কেইবাগৰাকীও পূৰোধা ব্যক্তিৰ অন্যতম ধনীৰাম ৰংপি ( প্রাক্তন চি.ই.এম তথা মন্ত্রী ) , জয়ছিং দলৈ (প্রাক্তন চি.ই.এম) ,চাৰ ৰংপি, গংগাধৰ গোস্বামী, পদ্মকান্ত বৰুৱা, অতুল চন্দ্র কটকী,  হিতেশ্বৰ গোঁহাই, কমলা নাথ, মহেন্দ্র শইকীয়া, কনক চন্দ্র বৰা, কৃষ্ণমোহন ভঁৰালী, ভগৱতী বল্লভ গোস্বামী, দিবাকৰ ফকন ,বুদ্ধকান্ত বৰুৱা আদিৰ প্রচেষ্টাত গঠন হোৱা নামঘৰভাগ আজি শংকৰী কৃষ্টি বিকাশ সংঘ,বৰনামঘৰ ৰুপে জনাজাত ।  ২০১৭-১৮ বৰ্ষত এই বৰনামঘৰৰ উলহমালহেৰে সোণালী জয়ন্তী উদযাপন কৰা হয় )                                                      
                                                      
                                                       (১)
ডিফু থানা পথৰ সমীপতে, জিৰজিৰকৈ বৈ যোৱা জুৰিৰ কাষতে বৰনামঘৰটো, গম্ভীৰ অথচ সুদৃশ্য ৰুপত অৱস্থান কৰি থকা সৰু কালৰে পৰা দেখি আহিছোঁ।
                                                       (২)
মই তেতিয়া প্রাথমিক স্কুলৰ ছাত্র । এদিন ভাদমহীয়া গধূলি দেউতাৰ লগত শৰাই দিবলৈ আহিছিলোঁ । নামঘৰৰ ভিতৰভাগত সোমাই তাৰ প্রশান্ত আৰু সাত্বিক পৰিবেশত মোৰ শিশুমনটোৱে কিছুপৰ সন্মোহিত হৈ পৰিব লগা হৈছিল। ওখকৈ সজোৱা মনিকূটভাগ আৰু জ্বলন্ত চাকিগছিয়ে মোৰ মনতো ভক্তি ভাবৰ উদয় কৰিছিল । দেউতাই কান্ধত আঁৰি দিয়া গামোচাখনেৰে ভকতসৱৰ সৈতে ময়ো প্রাৰ্থনা কৰিছিলোঁ –
 ‘মই দুৰাচাৰ             কেৱলে  তোমাৰ
            অপৰাধী নাৰায়ণ ।
ক্ষমিয়োক  হৰি            লৈয়ো  দাস কৰি



             পশিলো  হেৰা শৰণ ‘
( মই অধৰ্মী  কেৱল তোমাৰ অপৰাধীহে ।হে’ নাৰায়ণ, হে’ হৰি, তোমৰ  চৰণত শৰণ লৈছোঁ, মোৰ দোষ মাৰ্জনা কৰি ভৃত্য কৰি লোৱা । )
       
                                                  ( ৩ )
বৰনামঘৰত দেউতাৰ সৈতে চিনাকি হোৱা অৱসৰপ্রা্প্ত ডি.এছ. পি. হৰেন্দ্রনাথ শইকীয়া, অসম ৰাজ্যিক বিদ্যুত পৰিষদৰ নগেন বৰা , ৰাজেন দত্ত আদিসকল দেউতাই অনুষ্ঠিত কৰা  বছৰেকীয়া নামভাগ সমপন্ন কৰিবলৈ ভকতৰ সাজত আমাৰ চৰকাৰী বাসগৃহলৈ অহা কৰিছিল । দেউতাই কত আদৰা আমি চাইছিলোঁ । বাহিৰত এবাল্টি পানী আৰু এখন গামোচা ৰাখি থোৱা থাকে। তাৰ পাছত ভকতক আদৰিছিল-
‘ নমো  নমো নাৰায়ণ           প্রসন্ন  হুয়োক  হৰি
              কৰিয়োক মায়াক নিৰ্য্যান ।
আপোনাৰ মহিমাক               আপুনি বেকত কৰি
               জিবক কৰিয়ো পৰিত্রাণ ।‘
( হে’ নাৰায়ণ, তোমাক মই বাৰে বাৰে সেৱা কৰিছোঁ, তুমি সন্তোষ হৈ মোৰ মনৰ পৰা মায়া দূৰ কৰা । তোমাৰ নিজ নামৰ মাহাত্মা প্রকাশ কৰি পাপী জীৱক ৰক্ষা কৰা । )
 ভোৰতালেৰে ৰজনজনাই যোৱা নাম – প্রসংগৰ শব্দত চাৰিওফালে যেন এটা সাত্ত্বিক পৰিবেশ ৰচনা হৈছিল। কল’নিৰ প্রায়ভাগ মানুহ আমাৰ ঘৰত গোট খাইছিল । মাৰ যেন ব্যস্ততাৰ অন্ত নাছিল। যথাসাধ্যে সকলোকে আদৰ – যত্নৰে আপ্যায়ন কৰাৰ চেষ্টা কৰিছিল। এটা সময়ত ভোৰতালৰ শব্দ শেষ হৈছিল। কোনোবাজনে ভাগৱত পাঠৰ দায়িত্ব লৈ সুৰ লগাই পঢ়িছিল আৰু গূঢ়াৰ্থ  আলোচনা হৈছিল। সকলোৱে নিৰৱে শুনিছিল। এটা সময়ত ঘৰৰ ভিতৰত ভকতে চাউলমুঠি ৰন্ধা কাৰ্য  সমাপ্ত হৈছিল। নামৰ শেষত দেউতাই চকুলো নিগৰাই বৰ  শ্ৰদ্ধা ভাবেৰে প্রাৰ্থনা কৰিছিল-
               ব্ৰহ্মা আদি জীৱ নিৰন্তৰে              ৰাম ৰাম ৰাম ৰাম  ৰাম
                               মায়া শয্যা মাজে আছয় ঘুমটি যাই ।
               তুমিসে চৈতন্য সনাতন                ৰাম  ৰাম  ৰাম  ৰাম  ৰাম    
                                 আমি অচেতন  নিয়োক নাথ  জগাই ।‘
( হে’ ৰাম, ব্রহ্মাকে আদি কৰি কীট – পতংগ যিমান জীৱ আছে সংসাৰৰ মায়াৰুপ শয্যায় নিদ্রাতে সকলো অচেতন । মায়াৰুপ শয্যাৰ অচেতন জীৱক চিৰস্থায়ী সনাতনেই চেতন দিওঁতা । মায়াময় শয্যাত নিদ্রিত চেতনাহীন জীৱক চেতনা দি জাগৰিত কৰাই তোমাৰ ওচৰলৈ নিয়া। )
                                                                    ( ৪)
চৰকাৰী কৰ্তব্যৰ খাতিৰত, ডিফু বৰনামঘৰৰ কাষেদি গ’লে মূৰটো এবাৰ দোঁৱাই যাওঁ । মনলৈ সাহস আহে । তাহানিৰ ৰাস পূৰ্ণিমাৰ সময়ত বৰনামঘৰত ৰাস উদযাপন, শংখচূড় বধৰ অভিনয়ৰ কথাবোৰ মনলৈ আহে।
                       শেষত মোৰ শৈশৱৰ এটা প্রিয় প্রাৰ্থনাৰে এই লেখা সামৰিব বিচাৰিছোঁ –
                                            ‘ তুমি চিত্তবৃতি মোৰ                 প্রৱৰ্ত্তক নাৰায়ণ
                                                               তুমি নাথ মই নাথৱন্ত
                                                চৰণ ছত্রৰ ছায়া                     দিয়া দূৰ কৰা মায়া
                                                               কৰা দয়া মোক ভগৱন্ত ।‘
( হে’ হৰি, তুমি মোৰ মনৰ বৃত্তিবোৰ চলাওঁতা আৰু  তুমি মোৰ  গৰাকী । মই আশ্রয়হীন । তুমি মোৰ শিৰত চৰণৰ ছাঁ পেলাই দি অজ্ঞান আন্ধাৰ নাশ কৰি মোক দয়া কৰা )
                       

                                                                                          -    বিদুল  বৰুৱা            



                                                                                            
                                                                                        

Comments

Popular posts from this blog

ফাগুন

‘কাটাৰৰ ডায়েৰী’- এখন সুখপাঠ্য গ্রন্থ

ডিফুত গান্ধী আলোচনা - অনুভবৰ কিছু কথা